ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করার জন্য সবাই অস্থির কিন্তু ব্লগিং নিয়ে আয় করতে হলে একদিকে দক্ষ লেখক হতে হয়, কিছু নিয়মিত পাঠক লাগে এবং ইন্টারনেটে আপনার লেখার মার্কেটিং এর স্কিল থাকতে হয়। এগুলো হতে অনেক সময় লাগে।
আর দরকার পড়ার অভ্যাস। গ্রুপে বাংলা ভাষায় মাত্র ১০০ পোস্ট পড়তে তেমন কেউ আগ্রহী না কিন্তু তারা ডলারের জন্য অস্থির।
ব্লগিংকে টাকার জন্য না নিয়ে নিজেকে এক্সপার্ট করার জন্য নিলে ভাল হবে।
ব্লগ শব্দটির তাত্তিক অর্থ অনলাইন ব্যক্তিগত ডায়েরি বা ব্যক্তিগত সামাজিক ওয়েবসাইট। ইংরেজি শব্দ Weblog হচ্ছে Blog এর পূর্ণরূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলার হয়। ব্লগাররা তাদের ওয়েবপেজে নিত্যনতুন কনটেন্ট পোস্ট করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে পড়াশোনা করেন, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন ত এবং সেখানে তাদের মন্তব্য বা অভিবাক্তি প্রকাশ করতে পারেন।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগ হতে পারে। যেমনঃ
১. ফ্যাশন ব্লগ
২. ফুড ব্লগ
৩. ট্রাভেল ব্লগ
৪. মিউজিক ব্লগ
৫. লাইফস্টাইল ব্লগ
৬. ফিটনেস ব্লগ
৭. DIY ব্লগ
৮. স্পোর্টস ব্লগ
৯. ফাইন্যান্স ব্লগ
১০. পলিটিক্যাল ব্লগ
১১. প্যারেন্টিং ব্লগ
১২. বিজনেস ব্লগ
১৩. পারসোনাল ব্লগ
১৪. নিউজ ব্লগ
১৫. কার ব্লগ
১৬. মুভি ব্লগ
১৭. গেমিং ব্লগ
১৮. পোষাপ্রাণীর ব্লগ
৫০০ থেকে ১০০০ শব্দ এজন্য লিখতে হয়, দুই লাইন লিখে কিন্তু একটা কন্টেন্ট কে কখনো ক্লিয়ার করা যায় না।তবে লেখাটাকে অতিরিক্ত বড় ও করা যাবে না রিচার্স করে যা পাওয়া যাবে তাকে পরিপূর্ণ ভাবে সাজিয়ে ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের মধ্যে শেষ করতে হবে।
ভালো ব্লগ তৈরি করতে গেলে আপনার কনটেন্ট মেকিং এর ওপর যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা থাকতে হবে। কনটেন্ট মেকিং এর জন্য প্রচুর পরিমাণে একদিকে যেমন পড়াশোনা করা দরকার তেমনি ভাবে বেসিক কিছু টেকনিক্যাল স্কিল ও জানা দরকার।
অনেকেই আছেন যারা বাইরে গিয়ে কাজ করতে চান না
বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেকের ফ্যামিলি রেস্ট্রিকশন বা ঘরে কাজের চাপ থাকায় আলাদাভাবে বাইরে গিয়ে কাজ করার সময় বা সুযোগ হয়ে ওঠে না তাদের জন্য ব্লগিং এবং কন্টেন্ট রাইটিং অনেক ভাল একটি পেশা
কন্টেন্ট রাইটার মূলত কি করবে???
-- কন্টেন্ট রাইটার এর মূল কাজই হলো লেখালেখি। লেখা নিজের মতো করে। অবশ্যই তথ্যবহুল লেখা হবে। তবে সেটা সম্পূর্ণ নিজস্ব ধরণে। অর্থাৎ একজন ভালো রাইটারের পরিচয় বা স্বকীয়তা হলো তার নিজস্ব লেখার প্যাটার্ন।
ফুল টাইম ছাড়াও ব্লগিং করা যায়। ধরেন আপনি ১২ ঘন্টা চাকরি করেন। তাহলে প্রতিদিন আপনি ৩০ মিনিট লিখেও ভাল কিছু করতে পারবেন যদি ৬ থেকে ১ বছর টানা লিখে যেতে পারেন।
জাস্টিন হলকে ইতিহাসের সবচেয়ে পুরান ব্লগার বলা যায়
আরেক ধরনের ব্লক হচ্ছে সহযোগী ব্লগ বা গ্রুপ ব্লগ, মাইক্রোব্লগিং, কর্পোরেট বা সংগঠনির ব্লগ , একত্রিত ব্লগ,
একজন কনটেন্ট রাইটার যেসকল দক্ষতা বা জ্ঞান থাকতে হয়-
1.বাংলায় যদি লিখে থাকে তাহলে বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ এর উপরে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে
2.যদি ইংরেজিতে কনটেন্ট রাইটিং দেখতে চায় তাহলে ইংরেজি ভাষা ও ব্যাকরণ এর উপরে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে
3.যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে চায় তাহলে অবশ্যই সে বিষয়ে গবেষণা করতে হবে এবং পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে
4. যে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার দক্ষতা থাকতে হবে
টপিক টা খুব ভালো লাগলো।
চাকরির ভীষণ অপ্রুলতা আমাদের দেশে। কিন্তু কর্মসংস্থান সত্যি বলতে নিজে নিজে সৃষ্টি করা যায় এখন। তার মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং, ব্লগিং অন্যতম মাধ্যম। এডসেন্স একাউন্ট খুলে গুগল থেকে সহজেই আয় করা যায়। সেক্ষেত্রে ইউটিউব ও হতে পারে অন্যতম মাধ্যম। তবে হ্যা, অবশ্যই লেগে থাকতে হবে। লেগে থাকা ছাড়া কোনো কাজ সম্ভব না। ইউটিউব এ ক্লাস টেন পড়া একটা ছেলেকে দেখলাম, টেকনোলজি রিলেটেড ভিডিও বানিয়ে অলরেডি সে লাখপতি, হয়তো বা কোটিপতি ও হবে ভবিষ্যতে। যদি লেগে থাকতে পারে। ভালোই জনপ্রিয় সে। সবচেয়ে বড় কথা কন্টেন্ট গুলো ভালো হয় যার কারনে সবাই দেখে এবং উপকৃত হয়! আর কাজের প্রতি প্যাশন আছে বলেই পারছে। একটা কাজের প্রতি প্যাশন এবং ডেডিকেশন এর সম্মিলন থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব।
১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন ওপেন ডায়রি নামান, এতে করে হাজারো অনলাইন দিনপত্রী জন্ম নেয়। ওপেন ডায়রির আবিষ্কার হচ্ছে পাঠক মন্তব্য, এটাই ছিলো প্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে পাঠকেরা অন্য লেখকের ব্লগ অন্তর্ভুক্তিতে মন্তব্য করতে পারতেন।
অনলাইনে কাজ করার জন্য কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যেমন ওয়ার্ডপ্রেস সাইট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এস ই ও নিউ ভালো ধারণা থাকতে হবে তাহলেই নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে
লোকাল রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে সেগুলো নিয়ে রিভিউ হতে পারে ফুড ব্লগ। কাস্টমার টার্গেট করে ফুড বিজনেসম্যানরাও ব্লগ তৈরি করেন। এটাও আমরা যারা ব্লগ লেখালেখি করি তাদের জন্য আকর্ষণীয় একটি মার্কেট হতে পারে।
wordpress.org ব্লগিং এর কাজ শুরু করা যায়।
বাংলাদেশে অনেকগুলো ফ্রি ব্লগিং সাইট রয়েছে যেখানে তে একাউন্ট তৈরির মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করা যায়।
২০০৫ সালের প্রথম মাস থেকে শুরু হয় বাংলা ব্লগিং এর ইতিহাস। বাংলা ভাষার প্রথম ব্লগ সামহোয়্যার ইন ব্লগ।
কন্টেন্ট লিখতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই সেই লেখা যেন ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের ব্যবহার করে করা যায়।আমরা যখন কোন পণ্য সম্পর্কে রিচার্স করতে যায় যদি সে রিসার্সের হুবহু লেখা হয় তাহলে কিন্তু লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। এমনকি ১০--২০ হাজার সংখ্যা ও হতে পারে কিন্তু এত বড় না করে নির্দিষ্ট কথাটা ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের মধ্যে শেষ করতে পারাটাই কিন্তু কনটেন্ট এর সার্থকতা।
আরিয়ানা হাফিংটন এর সাকসেসফুল একটি ব্লগ হলো হাফিংটন পোস্ট। এই ব্লগ টি 1 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছে। তাদের আয়ের এর মূল উৎস ছিল বিজ্ঞাপন।
হাফিংটন পোস্ট-এর ব্লগিং এর মূল বিষয় ছিল পলিটিক্স এবং লাইফস্টাইল।
2005 সালে হাফিংটন পোস্ট ব্লগটি শুরু হয় আরিয়ানা হাফিংটন এর হাত ধরে।
ব্লগে নাম-ঠিকানা নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু করতে হবে ব্লগ শুরু করার আগে ডোমেইন নাম নির্বাচন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকৃষ্ট করার জন্য ওয়েবসাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম আপনার নাম হবে আপনার ওয়েবসাইটের ইউ আর এল এর ওয়েবসাইট নির্বাচন করতে হবে যাতে সহজেই আমরা মনে রাখতে পারি।
মাইক্রোব্লগিং-ও আরেক ধরনের ব্লগিং, যেখানে পোস্টের আকার তূলনামূলক ছোট থাকে। জুন, ২০১৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন টেকনোরাট্টি প্রায় বাইশ মিলিওনেরও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে।
তথ্যবহুল ব্লগপোস্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। আর এজন্য অনলাইন বা অফলাইনে গবেষণা চালিয়ে আপনাকে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বই এবং মানসম্পন্ন ব্লগপোস্টগুলো পড়তে হবে।
আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ব্লগিং সেকশন দিয়ে ভাল ফল আনতে পারবেন।
দুনিয়ার বড় বড় কোম্পানি রা ব্লগার নিয়োগ দেয় তাদের ব্লগে প্রতিদিন কন্টেন্ট পাব্লিশ করার জন্য।
ডোমেইন,হোস্টিং, কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম,গিগল এডসেন্স,স্পন্সর কি ভাবে কাজ করে এসব সম্পর্কে জানতে হবে
No comments