How to start your Start-up Business (কিভাবে স্টার্ট-আপ ব্যবসা শুরু করবেন)



একটি স্টার্ট- আপ ব্যবসায়ে এক্সটারনাল ফান্ড পাওয়ার জন্য স্টার্ট– আপ পিচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিচ বলতে বোঝায় আপনার ব্যবসায়ের আইডিইয়াকে গল্প আকারে এমনভাবে উপস্থাপন করা যা শ্রোতাদের মনে আপনার ব্যবসায় সম্পর্কে কৌতূহল বা আগ্রহ জন্মাবে। যখন আপনি পিচ তৈরি করবেন তখন আপনাকে বলতে হবে কেন আপনি ব্যবসায় শুরু করবেন বা কিভাবে আপনি আপনার লক্ষ্যে পোঁছাতে পারবেন । পিচ অনেক বেশী অতিরঞ্জিত করা যাবে না। তার মানে হল সল্প কথায় এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন মানুষ সহজেই বুঝতে পারে যে আপনি বা আপনার কোম্পানী কি নিয়ে কাজ করছে।


যখন আপনার পিচ করা হয়ে যাবে বা যখন আপনার ব্যবসায়ের প্রতি মানুষ আগ্রহ দেখাবে তখন তারা ব্যবসায়ের ডিটেইলস পরিকল্পনা চাইবে। তাই স্টার্ট – আপ ব্যবসায়ের জন্য একটি পরিকল্পিত প্লান প্রয়োজন। ব্যবসায়ের প্লান বা পরিকল্পনা করার কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যা ব্যবসায়কে সুন্দরকরে ফূটিয়ে তোলে-
১) এক্সিকিউটিভ সামারীঃ এক্সিকিউটিভ সামারী সাধারনত এক পৃষ্ঠার মধ্য সংক্ষিপ্ত করে পুরো ব্যবসায়ের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গুলো উপস্থাপন করতে হবে। বেশীরভাগ মানুষ বা ইনভেস্টররা এক্সিকিউটিভ সামারী দেখেই পুরো ব্যবসায় সম্পর্কে ধারনা নিয়ে নেয়।স্টার্ট–আপ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায় কি করে বা কিভাবে ভেল্যু প্রোপজিশন বৃদ্ধি করে এইগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দিতে হবে এক্সিকিউটিভ সামারীতে।

২)পন্য বা সেবাঃ আপনার পন্য বা সেবা সম্পর্কে বলতে হবে এবং এটি কি করে ক্রেতা বা জনসাধারনের উপকারে আসবে এগুলো সংক্ষীপ্ত আকারে উপস্থাপন করতে হবে।

৩)কাস্টমারঃ কে আপনার পন্য বা সেবা ক্রয় করবে? কিভাবে আপনি ক্রেতা পাবেন বা ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন? এসব বর্ণনা করতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই দেখাতে হবে যে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা বা কাস্টমারের চাহিদা বা পছন্দের কথা মাথায় রেখে পন্য উৎপাদন করছেন।

৪)কম্পিটিশনঃআপনার কম্পিটিটর কারা? কেন আপনি অন্যদের তুলনায় আলাদা ? ধরুন বর্তমানে আপনার কোন কম্পিটিটর নেই কিন্তু ভবিষ্যতে তা হতে পারে ।তাই কি ধররনের কম্পিটিটর হতে পারে বা তাদের থেকে আপনি কিভাবে এগিয়ে যাবেন এইসব সম্পর্কে ও কিছু ধারনা দিতে হবে।

৫) মার্কেটিং ঃ কিভাবে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমারকেপন্য বা সেবার কথা জানাবেন?কাস্টমাররা কি ওয়ার্ড অফ মাউত এর মাধ্যমে অন্যদের কে জানাবে? কিভাবে আপনি আপনার পন্য বা সেবা বিক্রি বা ডেলিভারি করবেন এই বিষয় গূলো আগে থেকে পরিকল্পনা করে উপস্থাপন করতে হবে।

৬) অপারেশনঃ এই সেকশনে আপনাকে বলতে হবে কিভাবে আপনি আপনার পন্য বা সেবা তৈরি করেন বা উতপাদন প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত বিষ্যগুলোও উল্লেখ করতে হবে।তাছাড়া ব্যয়গুলো গুলো কিভাবে করেন বা কতজন কর্মী বা সাপ্লাইয়ার কাজ করছে বা দরকার এসব যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।

৭)ম্যানেজম্যান্টঃ আপনার ব্যবসায়ের আয় বা ব্যয়ের প্রবাহ কিভাবে রাখেন, বা আপনার ব্যবসায়ের এক্সপার্ট রা কি কাজ করে এবং প্রতিষ্ঠানের অনান্য যে কাজকর্ম রয়েছে সেগুলো বর্ণনা করতে হবে কিভাবে পরিচালনা করে আপনি স্টার্ট- আপ ব্যবসায়ে ভাল করছেন সে গুলো তুলে ধরতে হবে।

৮) ফাইন্যান্সঃ এটা হল একটা সাধারণ কাজ যেখানে আপনি নিজেকে নিজে ২ টি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন- আপনি আপনার পন্য বা সেবার জন্য কতটুকু দাম ধরবেন এবং তা থেকে কি ধরনের রিটার্ন পাবেন ,যদি আপনার ব্যবসায় বড় এবং জটিল হয় আপনাকে অবশ্যই প্রোজেক্টে সেলস এর হিসেব রাখতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.