Before Start your Start-up Business (স্টার্ট-আপ ব্যবসা শুরুর আগে)



স্টার্ট-আপ ব্যবসার সময় যে সব বিষয়  খেয়াল রাখতে হবে -Jannat Kader Chowdhury 

10 Things to keep in mind during the startup business
বেশীরভাগ মানুষই উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখে।যখন আপনি স্টার্ট-আপ ব্যবসায় শুরু করবেন তখন হয়ত আপনার কাছে অনেক সহজ মনে হবে। কিন্তু যখন আপনি ব্যবসায় পরিচালনা করতে যাবেন তখন নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হবেন তাই আপনাকে অনেক গুলো সাধারন জিনিস মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবেঃ

১। উপযুক্ত টিম বাচাইঃ আপনি যখন স্টার্ট- আপ ব্যবসায় শুরু করবেন তখন আপনাকে একটি ভাল টিম বা পার্টনার নির্বাচন করতে হবে।খুজে বের করুন কে বা কারা কাজ করতে পারদর্শী বা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে আগ্রহী। হ্যাঁ আপনি একাও একটি স্টার্ট- আপ ব্যবসায় করতে পারেন, কিন্তু এ ক্ষেত্রে অনেক বেশী সময় ও শ্রমের প্রয়োজন হবে এবং সাফল্য পেতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু যখন আপনি একটি টিমে থেকে কাজ করবেন তখন কাজগূলো অনেক সহজ হয়ে যাবে এবং একেক জন নতুন নতুন উদ্ধাবনী আইডিয়া দিতে পারবে ও সমস্যার সমাধান সহজে করা যাবে।

২।আয় ও ব্যয়ের প্রবাহঃ প্রতিটি স্টার্ট-আপ ব্যবসায় করতে কম বেশী টাকার প্রয়োজন হয়। কোথায় কি করে টাকা খরচ করতে হবে সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা আগে থেকেই করে নিতে হবে।তাছাড়া শুধু মাত্র লাভ ও লোকসানের স্টেটম্যান থাকলেই হবে না, আপনার ব্যবসায়ের দেনাদার- পাওনাদার কারা ও বর্তমান ব্যবসায়ের অবস্থা এসব প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখতে হবে।

৩। কপম্পিটিটরের দিকে খেয়াল রাখাঃ যখন আপনি ব্যবসায় করবেন তখন আপনার আশে পাশে অনেক কম্পিটিটর বা প্রতিযোগী থাকবে। আপনাকে একটূ সতর্ক থাকতে হবে তাদের থেকে কেননা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই নিজেকে প্রথম অবস্থানে দেখতে চায় আর সেজন্য তারা নতুন নতুন জিনিস যোগ করে কাস্টমারকে আকর্ষণ করার জন্য । তাই আপনাকে এমন কিছু নিশ বা সতন্ত্র জিনিস বাজারে আনতে হবে যেন মানুষ আপনার কম্পিটিটর থেকে ও আপনার পন্য বা সেবা নিতে আগ্রহী হয়।

৪। টিমের ও কর্মীদের সাথে সুসম্পর্কঃ যখন আপনি ব্যবসায় শুরু করবেন প্রথম দিকে হয়ত ভালভাবেই যাবে, কিন্তু যখন ব্যবসায় বাড়বে এবং তার সাথে সাথে কাজ ও বাড়তে থাকবে ।তখন হয়ত আপনার পার্টনার বা টিমের সাথে বিভিন্ন মত বিরোধ দেখা দিতে পারে। তাই এইসব বিষয়গুলো সুষ্ঠভাবে সমাধান করতে হবে। আরেকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে যখন আপনার স্টার্ট-আপ ব্যবসায় বড় বা সম্প্রসারন হতে থাকবে তখন আপনাকে অনেক কর্মী নিয়োগ দিতে হবে।তাই কর্মীদের সাথে ও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভালভাবে পরিচালনা করার জন্য।

৫। আপনি কে তা জানাতে হবেঃ প্রায় প্রতিটি স্টার্ট-আপ নতুন নতুন আইডিয়া বা প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসায় শুরু করে।যখন আপনি প্রাথমিক স্টেজে থাকবেন তখন মূলধনের প্রয়োজন হবে । তখন যারা আপনার ব্যবসায়ে ইনভেস্ট করবে তারা একটি কার্যকরী ব্যবসায়িক মডেল বা প্লান চাইবে। তাই আপনাকে আগে থেকেই ব্যবাসায়িক মডেল তৈরি করে রাখতে হবে যে যেখানে আপনার কি পন্য বা সেবা, ব্যবসায় ভবিষ্যতে কি কাজ করবে , কিভাবে রেভিনিউ আয় হবে এইগুলো বিষয় গুলো মাথায় রেখে ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করতে হবে যাতে করে ইনভেস্টররা বা বিনিয়োগকারীরা সহজেই আপনার ব্যবসায় সম্পর্কে বুঝতে পারে। সেই সাথে সাথে আপনার পুরো টিমকে মার্কেটে নিয়ে গবেষণা করতে হবে যে কাস্টমারের কি ধরনের চাহিদা ও কোন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল আপনার স্টার্ট-আপ ব্যবসায়ের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

৬। ঝুকি ম্যানেজমেণ্টঃ সব ধরনের ব্যবসায়ে কম বেশী ঝুকি বিদ্যমান থাকে।ব্যবসায় সম্প্রসারন করার জন্য আপনাকে অনেক ঝুকি নিতে হবে। যদি আপনি ঝুকি না নেন তাহলে ব্যবসায় বেশী দূর নিয়ে যেতে পারবেন না। তাই আপনাকে বুঝে শুনে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেক সময় হয়ত নানা রকম দুর্ঘটনা যেমন- বিল্ডিং ড্যামেজ, আগুনে মালামালের ক্ষতি, মেশিন নষ্ট ইত্যাদি নানা রকম অনাকাঙ্খিত সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। তাই বিভিন্ন ধরনের অনাখাঙ্খিত ঝুকি মোকাবেলা করার আগে থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে

৭।সাস্টিনঅ্যাবিলিটি বা টিকে থাকার ক্ষমতাঃ বেশীরভাগ স্টার্ট-আপ ব্যবসায় গুলো শুরু থেকেই লাভ পায়না । তাদের অনেক বেশী সময় ধরে যুদ্ধ করতে হয়। আর যারা ধৈর্য ধরে টিকে থাকতে পারে তারাই সাফল্য পায়। তাই আপনাকে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য। যদি আপনার ব্যান্ড কাস্টমারের কাছে নির্ভর যোগ্য হয় বা আপনার পন্য বা সেবা ব্যবহারে কাস্টমার সন্তুষ্ট হচ্ছে তবে নিশ্চিত থাকুন আপনার ব্যবসায়ে লাভ দিন দিন বাড়তে থাকবে।

৮।উপযুক্ত ব্যবসায়িক পরিবেশঃ আপনি যা বলছেন তা কাস্টমারকে দিচ্ছেন তো? আমরা বেশীরভাগ সময়ই কোম্পানি বিজ্ঞাপন দেয় একরকম আর পন্য বা সেবা থাকে অন্যরকম। তাই আপনাকে একটি সৎ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে ।পরিকল্পনা করতে হবে আপনার টিমের সাথে কি করে ব্যবসায়কে আর ও বেশী তরান্বিত করা যায়। সকল সদস্যদের কে তাদের কাজ বা দায়িত্ব সঠিক সময়ে উপস্থাপন করতে হবে এবং একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

৯।নেতৃত্বঃ একজন ভাল নেতাই পারে তার দলকে সামনে এগিয়ে নিতে। তাই আপনার ব্যবসায়ের জন্য একজন অভিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান নেতা নির্বাচন করতে হবে যে সকল কিছু অত্যন্ত বুদ্ধিমতার সাথে পরিচালনা করতে পারবে। তাছাড়া টিমের বাকী সদস্যদের কে ও নেতার কথা শুনার মতন মানষিকতা ও থাকতে হবে।নেতা সকল কাজের দিকনির্দেশনা দিবে এবং ব্যবসায়ের জন্য কোন গূলো ভাল হবে বা কোন গূলো খারাপ হবে সে দিক গুলো নিয়ে টিমের সদস্যদের সাথে পর্যালোচনা করবে এবং কার কি সমস্যা সে গুলো সমাধানে কাজ করবে।

১০।মার্কেটিং- মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মার্কেটিং খরচ যে কোন ব্যবসায়ের জন্য অনেক বেশী বড় ব্যয় নিয়ে আসে। যেহেতু আপনার স্টার্ট–আপ ব্যবসায়টি নতুন তাই আপনার পন্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষ কে জানাতে হলে অবশ্যই অনেক বেশী মার্কেটিং প্রয়োজন। আপনার মার্কেটিং যদি ভাল হয় তাহলে আপনি সহজেই কাস্টমারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবেন এবং আপনার কোম্পনী অনেক বেশী লাভবান হবে। তাই মানুষের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য আপনার পন্য বা সেবার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিজ্ঞাপন প্রস্তুত করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.