Why Book Reading is Important For us

        ছাত্র জীবনে বই পড়া কেনো জরুরী

            








বই হচ্ছে জীবনের একটি সুন্দর অংশ। বই জ্ঞানের ভান্ডার । বই পড়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন হয়না , কিন্তু জ্ঞান উপার্জন হয় । বই পড়ার অভ্যাস করাটা আমাদের ছাত্র জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ন। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানের আলোতে নিজেকে, নিজের পরিবার, সমাজ, দেশকে আরো আলোকিত করতে পারে ছাত্র সমাজ। তাই আমাদের যতাসম্ভব উচিৎ বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। তাই আজ কিছু বিষয় শেয়ার করবো বই পড়ার ব্যাপারে ।















  • কেনো ছাত্র জীবনে বই পড়া প্রয়োজন ?


বই মানেই জ্ঞ্যানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বই জ্ঞ্যানের পরিধি বৃদ্ধি করে । মানুষের মানসিক , জাগতিক , জ্ঞ্যানের ভান্ডার কে আরো সমৃদ্ধ করে তুলে । বই পড়ার জন্যে কোনো শ্রেনী পেশার প্রয়োজন হয়না । তবুও ছাত্র জীবন বই পড়ার জন্যে সব থেকে উপযুক্ত সময়।
বই একমাত্র অস্ত্র যা মানুষকে পরস্পরের সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে দিতে সক্ষম হয়ে থাকে। তাই বেশি বেশি বই পড়তে হবে ।













  •  বই পড়লে কী হবে ?


আগেই বলেছি বই পড়ে টাকা উপার্জন করা যায়না। যদি বই পড়লে টাকা উপার্জন করা যেতো থাহলে পৃথিবীর সবাই কাজ রেখে বই পড়া শুরু করে দিতো। তাই বই পড়লে কী উপকার হবে সেই বিষয়টি অবশ্যই আমরা এখন জানার চেষ্টা করবো।















  • পাঠ্যবই কিংবা আমাদের স্কুল,কলেজের পাশাপাশি বই পড়তে হবে।


আমাদের অনেকের ই মাথায় আসতে পারে নিজের স্কুল/কলেজের বই পড়েই শেষ করতে পারছিনা সেখানে বাকি বই কখন পড়বো। তাই বই যে সব সময় পড়তে হবে এমন না। নিজের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়ে নিতে হবে। যখন ই অবসর সময় থাকবে তখনই চাইলে যেকোনো একটি বই পড়ে নেয়া যেতে পারে। এতে পড়াশোনার প্রতি একটা সম্পর্ক তৈরী হবে । এছাড়াও পড়াশোনায় থাকবে মনোযোগ।













  •  বই পড়লে সৃজনশীল মেধা বৃদ্ধি পায়।


বই আগেই বলেছিলাম মানবিক চেন্তা চেতনাকে বদলে দেয়। সমাজ কে বদলে দেয়। বই মানুষ কে শিখায় হিংসা-বিদ্বেষ নয় , হানাহানি,কাটাকাটি নয় সুসম্পর্ক স্থাপনেই সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়াও আমরা বই পড়ার মাধ্যমে সৃজনশীল মেধা অর্জন করতে পারবো। তাই নিজের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি এসব বিভিন্ন ধরনের ফিকশনাল,মোটিভেশনাল,ট্রেবেল এছাড়াও বিভিন্ন মনিষীদের জীবনে এসব বই পড়ার মাধ্যমে নিজেকে আরো সৃজনশীল মেধার সাথে যুক্ত রাখা সম্ভব।  তাই পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি আলাদা বই পড়ে দ্রুত সৃজনশীল মেধা অর্জন করা সম্ভব।














  • বই মানুষিক ভাবে ঠিক রাখে মানুষকে


বই পড়ার জন্যে এটি অন্যতম একটি কারন হতে পারে। আমাদের ব্ররতমান জেনারেশনের মধ্যে ভালো না লাগা সমস্যাটি একটি প্রকট সমস্যা এখা দিয়েছে । তাই ভালো থাকার জন্যে বই পড়া একটি অন্যতম ভালো কাজ। বই যেমন মানুষকে সৃজনশীল মেধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তেমনই মানুষের মানুষিক ভাবে বিপর্যস্ত,ডিপ্রেশনে ভোগা এসব সমস্যা থেকেও বই খুব ভালো ভাবে মানুষকে ভালো রাখতে পারে। তাই ভালো থাকার জন্যে চাইলে বই পড়তে পারেন।















  •  কোনো কিছু দ্রুত শিখার জন্যে বই ।


আজকাল আমরা চাইলেই ইন্টারনেটে বই পড়তে পারি পিডিএফ এর সাহায্যে কিন্তু তা কি আমাদের মন কে স্থীর রাখতে পারে ? কখনই না । কারন স্মার্টফোনে আমরা যখন একটা নিয়ে ব্যস্থ থাকতে চাই অন্য বিষয়গুলো এত শক্ত ভাবে আমাদের আখড়ে ধরে যে আমাদের মন কে আর সেই কাজে স্থীর রাকঘা সম্ভব হয়ে উঠেনা। তাই আমাদের জন্যেই বই পড়া অনেক উপকারী । বই যেমন নিজেকে প্রস্তত করতে সাহায্য করে তেমনই কিছু জানত্‌ শিখতেও, বইয়ের বিকল্প নেই ।












  •  ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখার জন্যে বই ।


আমরা অনেকেই জানি ইতিহাস জানার জন্যে বই অনেক জরুরী একটি জিনিস । বই যেমন মানুষিকভাবে ভালো রাখে তেমনি ইতিহাস সম্পর্কে ভালো জ্ঞ্যান দিতে সক্ষম হয়। ইতিহাস জানা ছাড়া যেকোনো দেশের কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত করা সম্ভব নয় । তাই সুষ্ট ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান রাখার জন্যে বই পড়া অত্যন্ত জরুরী । বেশি বেশি ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা পেতে ইতিহাস সম্পর্কিত বই পড়ুন ।

বই জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ । বই কে ভালোবাসুন। বই আপনাকে ভালোবাসবে।

No comments

Powered by Blogger.