3 Facts You Never Knew About Child Care Winter.

শীতে নিন শিশুদের বাড়তি যত্ন।


আমাদের দেশে এখন শীতের প্রকোপের চলছে। সামনে জানুয়ারী-এপ্রিল চলবে শীতের আরো তীব্রতা। আর এই তীব্র শীতে নিজের শিশুর প্রতি যত্ন নিতে অবহেলা করলেই পড়তে পারেন মহা জামেলায়। যতই সময় এগোচ্ছে শীতের প্রকোপ এবং তীব্রতা বেড়েই চলছে দিনের পর দিন। তাই শিশুদের প্রতি আজ থেকেই যত্ন নিন বেশি বেশি।


কিভাবে এই শীতের সময়ে শিশুর বাড়তি যত্ন নিবেন তাই বলার চেষ্টা করবো। শীতকাল সময়ে সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কিন্তু বেশিই অসুস্থ হোন বুড়ো এবং শিশুরা। আর সে জন্যেই বাড়তি সমস্যায় পড়তে পরিবারের সকলকেই। আর সে জন্যেই কিছু বিষয় শেয়ার করা হলো যা একটু লক্ষ্য করলেই শীতের সময়ে শিশুর যত্ন নিতে সুবিধা হবে।


১। শিশুদের ফ্লোরে বা মাঠিতে খালি পায়ে হাটতে বারন করুন।

শীতের এই সময়ে শিশুদের বাইরে কিংবা ঘরে খালি পায়ে হাটাহাটি-খেলাধুলার কারনেই ঠান্ডা লাগে বেশি। সেদিকে বেশি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। খালি পায়ে ঠান্ডার লাগার মাধ্যমেই জ্বর থেকে সর্দি কাশি শুরু হয়ে থাকে।এছাড়াও একদম ছোট বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। তাই শীতের সময়ে শিশুদের পায়ে জুতো দিয়ে রাখুন ।


২। শিশুদের খাবারের ব্যাপারে সচেতনতা।


এই সময়ে (শীতকাল) শিশুদের যত্ন্রের মধ্যে অন্যতম একটি হলো খাবারের ব্যাপারে সচেতনতা। শীতকালে প্রচুর শাক,সবজি পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে বাচ্চাদের(৬ মাসের বেশি বয়সী) বাচ্ছাদের শাক,সবজি খাওয়ান। অন্যদিক, এই সময়ে শিশুদের ঠান্ডা জাতীয় খাবার থেকে দূরে রাখুন। জুস,কোকাকোলা কিংবা ফ্রিজের পানি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। এতে বাচ্ছাদের অনেক বেশি ঠান্ডা লাগে। 
৩। শিশুদের পোশাক

শীতকালিন সময়ের বাচ্চাদের পোশাকের ব্যাপারে সচেতন করুন। সকালে এবং রাতে উষ্ম কাপড় পড়িয়ে রাখুন।


এছাড়াও বাচ্ছাদের অনেক ধরনের বিশেষ যত্ন নিন । বাচ্ছাদের কে সব সময় রাতের বেলা গরম পানি খেতে দিন রাতের খাবার গরম খাবার দিন । সব সময় শীতের কাপড় পড়িয়ে রাখুন এবং বিকেলেই বাচ্চাকে ঘরে রাখুন।


বাচ্চাদের কোনো অসুবিধা দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের সরনাপন্য হোন। সমসময় বাচ্চার সাথে থাকুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে খেলাধুলা করতে বাধাদিন। ভোরে বিছানা থেকে উঠাবেন না। প্রতিদিন গোসল করাবেন না আর করালেও গরম পানি ব্যবহার করে গোসল করাবেন। গোসলের আগে বাচ্চার পুরো শরীরে সর্ষা তেল মাখিয়ে পরে গোসল করাবেন।

শিশুদের যত্ন নিতে খামখেয়ালী করবেন না। আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যত।

No comments

Powered by Blogger.